ট্রান্সমিশন লাইনের প্রান্তিক ক্যাপাসিটর পদ্ধতিতে ভোল্টেজ এবং কারেন্ট সমীকরণ
মধ্যম পরিবহন লাইন সমস্ত ধ্রুবক দ্বারায় প্রভাবিত হয়। কাজেই এই ধরনের লাইন ক্যালকুলেশনের সময় রেজিস্ট্যান্স, ইন্ডাকট্যান্স ও ক্যাপাসিট্যান্স সমানভাবে বিবেচিত হয়। সাধারণত ৩টি পদ্ধতিতে মধ্যম পরিবহন লাইন বা মিডিয়াম ট্রান্সমিশন লাইন ক্যালকুলেশন করা হয়।
যেমন,
১। প্রান্তিক ক্যাপাসিটর পদ্ধতি।
২। নমিনাল “T” পদ্ধতি এবং
আজ আমরা ট্রান্সমিশন লাইনের প্রান্তিক ক্যাপাসিটর পদ্ধতিতে ভোল্টেজ এবং কারেন্ট সমীকরণ আলোচনা করব। চলুন শুরু করি;
প্রান্তিক ক্যাপাসিটর পদ্ধতি
প্রান্তিক ক্যাপাসিটর পদ্ধতি সব থেকে সহজ এবং সাধারণ পদ্ধতি। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, লাইনের সমস্ত ক্যাপাসিট্যান্সগুলো গ্রহণ প্রান্তে কেন্দ্রীভূত হয়ে একটি শান্ট ক্যাপাসিটর ( লাইন টু নিউট্রাল) হিসেবে কাজ করে। নিচের চিত্রটি লক্ষ্য করুন।
উপরের চিত্রে তিন ফেজ পরিবহন লাইনের এক ফেজ দেখানো হয়েছে। কারণ, লাইন টু লাইন মানের পরিবর্তে এক ফেজ হিসাবে হিসাব করা অধিক সুবিধাজনক।
উপরের চিত্রানুযায়ী ধরি,।
VR = প্রতি ফেজের লোড ভোল্টেজ।
IR = প্রতি ফেজের লোড কারেন্ট।
R = প্রতি ফেজের রেজিস্ট্যান্স।
XL = প্রতি ফেজের ইন্ডাক্টিভ রিয়্যাকট্যান্স।
C = প্রতি ফেজের ক্যাপাসিট্যান্স।
CosϕR = গ্রহণ প্রান্তের পাওয়ার ফ্যাক্টর। (ল্যাগিং)
VS = প্রেরণ প্রান্তের ভোল্টেজ।
উপরের চিত্রানুযায়ী {Vr} -কে রেফারেন্স ভেক্টর হিসাবে ধরলে
আমরা পাই, overrightarrow{Vr} = Vr + j0
লোড কারেন্ট, overrightarrow{Ir }= Ir left(Cosphi r - j sinphi rright)
ক্যাপাসিটিভ কারেন্ট, overrightarrow{Ic }= joverrightarrow{Vr}omega c = j2pi fCoverrightarrow{Vr}
লোড কারেন্ট overrightarrow{Ir} এবং ক্যাপাসিটিভ কারেন্ট overrightarrow{Ic} এর ভেক্টর যোগফলই হল প্রেরণ প্রান্তের overrightarrow{Is}
যেমন,-
begin{array}{l}overrightarrow{Is }= overrightarrow{Ir }+ overrightarrow{Ic}\ = Ir left(cosphi r - jsinphi rright) + j2pi fcVr\ \ = Ir cosphi r - Ir jsinphi r + j2pi fcVr\ \ = Ir cosphi r + jleft(-Ir sinphi r + 2pi fcVrright)end{array}
ভোল্টেজ ড্রপ/ফেজ = overrightarrow{Is}overrightarrow{Z} = overrightarrow{Is} left(R + jX_Lright)
প্রেরণ প্রান্তের ভোল্টেজ = overrightarrow{Vs} = overrightarrow{Vr} + overrightarrow{Is} overrightarrow{Z} = overrightarrow{Vr} + overrightarrow{Is }left(R + jX_Lright)
এভাবে আমরা প্রেরণ প্রান্তের ভোল্টেজ Vs নির্ণয় করতে পারি।
প্রান্তিক ক্যাপাসিটর পদ্ধতিতে ভেক্টর ডায়াগ্রামের ব্যাখ্যা
ϕ_R লোড কারেন্ট overrightarrow{Ir} রেফারেন্স ভেক্টর overrightarrow{Vr} এর পশ্চাতে আছে। ক্যাপাসিটিভ কারেন্ট overrightarrow{Ic} রেফারেন্স ভোল্টেজ overrightarrow{Vr} এর ^{৯০circ} আগে আছে। overrightarrow{Ic} এবং overrightarrow{Ir} – এ ভেক্টর যোগফলই হলো প্রেরণ প্রাস্তের কারেন্ট overrightarrow{Is}
% ভোল্টেজ রেগুলেশন = frac{Vs - Vr}{Vr}times১০০
পরিবহন দক্ষতা = frac{প্রতি ফেজে গ্রহণকৃত পাওয়ার}{প্রতি ফেজে প্রেরণকৃত পাওয়ার}times১০০
প্রান্তিক ক্যাপাসিটর পদ্ধতিতে মধ্যম পরিবহন লাইনের সীমাবদ্ধতা
যদিও ট্রান্সমিশন লাইনে হিসাব নির্ণেয়ের ক্ষেত্রে প্রান্তিক ক্যাপাসিটর পদ্ধতি সহজ কিন্তু এ পদ্ধতিতে নিম্নলিখিত কিছু সীমাবদ্ধতা মেনে চলতে হয়।
যেমন,
১। হিসেবের সময় বিবেচনাদিন এরর (প্রায় ১০% ) ধরা হয়। কেননা এ পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ লাইনের ক্যাপাসিট্যান্সকে একপ্রান্তে একত্রীভূত অবস্থায় ধরে নেওয়া হয়।
২। লাইন ক্যাপাসিট্যান্স -এর প্রভাবকে অতিরিক্ত হিসেবে ধরা হয়।
আমাদের লেখাটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।
আরও পড়ুনঃ
- নমিনাল ‘T’ পদ্ধতিতে ভোল্টেজ এবং কারেন্ট সমীকরণ
- দীর্ঘ পরিবহন লাইনের লাইন ধ্রুবকের প্রভাব
- কনস্ট্যান্ট ভোল্টেজ ট্রান্সমিশন সুবিধা এবং অসুবিধা
- রিগোরাস পদ্ধতিতে দীর্ঘ পরিবহন লাইনের বিশ্লেষণ